অসময়ের বৃষ্টি
---------------------
পৌষের আকাশে মেঘ জমেছে,
ঝরছে সকাল বিকেল বৃষ্টি।
শীতল হাওয়া বইছে দেখো,
কি অপরূপ সৃষ্টি।
অসময়ের ঝমঝম বৃষ্টিতে ভিজলো সারা শহর,
ভিজলে তুমি, ভিজলাম আমি,
ভিজলো গায়ের চাদর।
ও পাড়ার মেয়েটা
এলো চুলে একলা ছাদের 'পরে দাঁড়িয়ে,
বৃষ্টিতে ভিজতে চায় সে।
গায়ের লাল ওড়নাটা উড়ছে আকাশে।
বৃষ্টির সাথে নৃত্য করে নি কতদিন,
মেঘের গর্জনে কেঁপে ওঠেনি,
আঁকড়ে ধরে নি তাঁর প্রানসখাকে।
অসময়ের বৃষ্টিতে ভিজতে চায় সে,
মেঘের গর্জনে কাঁপতে চায়, ঠিক আগের মতো,
আঁকড়ে ধরতে চায় আপনজনকে।
অসময়ের বৃষ্টি ঝাপটা মেরে
ভিজিয়ে দিলো তাঁকে,
মেঘের গর্জন কাঁপিয়ে দিয়ে গেলো।
আজ কেউ কাছে নেই,
যাকে আঁকড়ে ধরবে,
আজ সে একা,
একদম একা,
কেউ নেই সাথে তাঁর।।
১৮|১২|২০১৮
সময় :: রাত ১০|২২ মিনিট
Friday, December 21, 2018
********* ফিরে দেখা ***********
---------------------------------------
কুড়ি বছর পরে
আবার রোদে পিঠ দিয়ে
দুজনে মুখোমুখি বসা।
শীতের দুপুরে,
কমলা লেবু ছাড়িয়ে
দুজন দুজনের মুখে তুলে দেওয়ার মধ্যে
এক অনাবিল আনন্দের খোঁজ পাওয়া যায়।
শীতল বাতাসে অবাধ্য খোলা চুল,
কপালে এসে পড়ছে বারে বারে।।
গায়ের চাদরটা ভালো করে জড়িয়ে নিয়ে,
দুজন দুজনের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা।
---------------------------------------
কুড়ি বছর পরে
আবার রোদে পিঠ দিয়ে
দুজনে মুখোমুখি বসা।
শীতের দুপুরে,
কমলা লেবু ছাড়িয়ে
দুজন দুজনের মুখে তুলে দেওয়ার মধ্যে
এক অনাবিল আনন্দের খোঁজ পাওয়া যায়।
শীতল বাতাসে অবাধ্য খোলা চুল,
কপালে এসে পড়ছে বারে বারে।।
গায়ের চাদরটা ভালো করে জড়িয়ে নিয়ে,
দুজন দুজনের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা।
আজ থেকে কুড়ি বছর আগেও
এমনি এক শীতের দুপুরে,
রোদে পিঠ দিয়ে,
দুজনের মুখোমুখি বসে থাকা।
তখন বয়স অল্প,
কলেজের ক্লাস শেষ হবার পরে,
দুজনের সেই নদীর পারে গিয়ে বসা।
চোখে অনেক না দেখা স্বপ্ন,
মনে ভীর করে আসত।
সন্ধ্যে নামলে, দুজন দুজনকে ছেড়ে,
ঘরে ফিরে যাওয়া।
আবার পরদিন দেখা হবে, এই আশায়,
বাড়ি ফেরা।
এমনি এক শীতের দুপুরে,
রোদে পিঠ দিয়ে,
দুজনের মুখোমুখি বসে থাকা।
তখন বয়স অল্প,
কলেজের ক্লাস শেষ হবার পরে,
দুজনের সেই নদীর পারে গিয়ে বসা।
চোখে অনেক না দেখা স্বপ্ন,
মনে ভীর করে আসত।
সন্ধ্যে নামলে, দুজন দুজনকে ছেড়ে,
ঘরে ফিরে যাওয়া।
আবার পরদিন দেখা হবে, এই আশায়,
বাড়ি ফেরা।
এই ভাবেই একদিন, বাড়ি ফেরার পরে,
পরদিন আর দেখা হোল না দুজনের।
কোন এক অজানা ঝড় সব ওলট পালট করে দিল।
পরদিন আর দেখা হোল না দুজনের।
কোন এক অজানা ঝড় সব ওলট পালট করে দিল।
কুড়ি বছর পরে,
আবার আজ রোদে পিঠ দিয়ে,
মুখোমুখি বসা, পুরনো স্মৃতিকে উস্কে দিলো।
আবার আজ রোদে পিঠ দিয়ে,
মুখোমুখি বসা, পুরনো স্মৃতিকে উস্কে দিলো।
ভাঙা হৃদয়ে, আবার প্রানের সঞ্চার হল।
২১/১২/২০১৮
সময় - দুপুর ১ টা ৫০ মিনিট
Tuesday, January 16, 2018
একটু
খানি....
-------------------
একটু
খানি
ঝগড়াঝাটি
একটু
খানি
মান
একটু
খানি
মনের
কথা
একটু
খানি
ভালো
লাগা
গান।।
একটু
খানি
ঠোঁট
ফোলানো
একটু
খানি
হাসি
একটু
খানি
সুখের
কথা
বলতে
ভালোবাসি।।
একটু
খানি
তাকিয়ে
দেখা
একটু
খানি
সুখ
একটু
খানি
ভার
করা
মন
একটু
খানি
দুখ।।
একটু
খানি
মেঘলা
আকাশ
একটু
খানি
বৃষ্টি
একটু
খানি
রোদ
ঝলমল
একটু
খানি
সৃষ্টি।।
রক্তের
রং
চারধারে
চাপচাপ
রক্ত,
নেতারা
খুঁজতে
ব্যস্ত
কে
তার
ভক্ত!
"দাদা
আমি
নিচে
আটকে
আছি,
আমাকে
বাঁচান!"
নেতা
তখন
বলছে,
"ডাকছে
যে,
সে
বিরোধী
দলের,
তাকিও
না,
ওর
দিকে!"
"আমার
দলের
যারা
চাপা
পড়েছে,
তাঁদের
ভালো
হাসপাতালে
নিয়ে
যাও,
ওরা
আমাকে
ভোট
দেবে,
আগামী
নির্বাচনে!"
ধ্বংস
স্তুপের
নিচ
থেকে
আর্তনাদ,
"একটু
জল
দেবে,
গলা
শুকিয়ে
যাচ্ছে,
আমাকে
বাঁচাও!"
নেতা
তখন
মাইক
হাতে
বলছেন,
"শুনুন,
যারা
মারা
গেছেন,
তাঁদের
পরিবার,
পাঁচ
লাখ
পাবে,
আহতদের
পরিবার
পাবে
দুলাখ,
আর
যাঁদের
সামান্য
চোট,
তাঁরা
পঞ্চাশ
হাজার!"
"দাদা
এই
যে
এইদিকে
আমি,
আমার
পরিবার
কত
পাবে,
আমার
যে
দুই
হাত
আর
দুই
পা
গেছে,
এখনও
বেঁচে
আছি,
যদি
চলে
যাই,
পাঁচ
লাখ
পাবো,
মেয়ের
বিয়ে
হয়ে
যাবে.."
নেতা
চলে
গেলেন,
রক্তের
রং
দেখে
গেলেন!
ভয়ানক
রাত
---------------
সেদিন
ছিল ভালোবাসার দিন
রাত
বারোটা,
দাঁড়িয়ে
ছিল ছেলেটা
রেল
ষ্টেশনের কাছে
দিদি
ফিরবে কাজের থেকে,
সেই
দিদি
যে
মায়ের স্নেহ ভালবাসা দিয়ে
বড়
করেছে তাঁকে
দিদিকে
নিয়ে ফিরবে বাড়িতে
তারপর
রাতের
খাবার খাবে একসাথে
দিদিকে
নিয়ে ফিরছে যখন
মদ্যপ
যুবকের দল
ভোজালি
হাতে
পথ
আগলে দাঁড়িয়ে তখন
কিছু
বোঝার আগেই
পাশবিক
যুবকের হাতে
দিদি
হল বিবস্ত্র
খালি
হাতে ছেলেটা
হাতে
নেই কোনও অস্ত্র
তবুও
সহ্য করতে না পেরে
ঝাঁপিয়ে
পড়লো ছেলেগুলোর ওপরে
হঠাৎ
আর্তনাদ
“দিদিইইইইইইইইইইইইইইইই......”
নিস্তব্ধ
নিঝুম রাত
দূরে
গুটি কয়েক কুকুর ভয়ে আছে শিটিয়ে
আর
রক্তাক্ত
ছেলেটা মাটির ওপরে লুটিয়ে
ধারালো
ভোজালি দিয়ে
এফোঁড়
ওফোঁড় করে দিয়েছে
কেউ
নেই আশেপাশে
বিবস্ত্র
দিদি এক পাশে
আর
ভাই পরে রক্তাক্ত দেহে
ঘৃণ্য
সমাজ মুখ লুকিয়ে রাখে
ফেলে
আসা স্মৃতি
চারিদিকে
শুধু নিস্তব্ধতা
ফেলে
আসা স্মৃতিগুলো
ফিরে ফিরে চেয়ে আছে
ফিরে ফিরে চেয়ে আছে
আমার
হৃদয়ের বাতাস
আজ
নতুন করে বইতে শুরু করেছে
তোমার
হৃদয়ের ঠাণ্ডা বাতাস
আজ
বইছে কিনা জানি না
কিছু
না জানা প্রশ্নে
কিছু
ভাষাহীন উত্তরে
কিছু
বাঁধাহীন বাঁধনে
অনুভব
করছি তোমায়
চারিধারে
শুধুই তুমি তুমি আর তুমি
আমার
হৃদয়ের বাতাস হয়ে তুমি থাকবে
তোমার
আমার স্বপ্ন গুলো ফিরে ফিরে
আসবে
Subscribe to:
Posts (Atom)