Friday, October 26, 2012

অন্তহীন অপেক্ষা


সপ্তমির সকালে তোমাকে ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছে ছিল,
হল না ছোঁয়া।
ইচ্ছে ছিল তোমার ঠোঁটে আমার ঠোঁট রেখে
কাটিয়ে দেব কিছু সময়।।

অপেক্ষায় ছিলাম কখন তোমাকে একলা পাব
নিজের মত করে দেখব তোমায়,  
কিছুতেই তোমাকে একলা পেলাম না।।
সকাল থেকে দুপুর হল, দুপুর থেকে রাত
আশায় ছিলাম পাব তোমার সাথ,
পেলাম না ... হলাম আশাহত

হল না আমার আশা পুরন...

অষ্টমির সকালে চোখ বন্ধ করে অঞ্জলি দিচ্ছিলাম,
তোমার ডান বাহু আমার বাম বাহুতে ঠেকেছিল,
হঠাৎ তাকিয়ে দেখি, পাশে তুমি।
আনন্দ হল খুব,
একটা উষ্ণতা অনুভব করলাম।
ইচ্ছে ছিল,  
মন্ডপের আড়ালে তোমাকে নিয়ে যাব,
তোমার নরম ঠোঁটে আমার ঠোঁট রাখব,
কিছু সময় কাটিয়ে দেব।
সকাল গড়িয়ে দুপুর, আর দুপুর গড়িয়ে রাত
কেন তুমি থাকলে না আমার সাথে সাথ, বুঝিনি।।

হল না আমার আশা পুরন...
গভীরভাবে আশাহত হলাম।।

আশায় ছিলাম, নবমীর নিশুতি রাতে
তোমায় নিজের করে পাব
আশায় মন্ডপে কেটে গেল রাত
নবমী নিশি চলে গেল
মায়ের বিদায় ঘন্টা বাজল

আসছে বছর আবার মা আসবে
তুমিও আসবে
দেখা হয়ত হবে, কিন্তু ছুঁয়ে দেখা
হবে না বোধ হয়
আশায় থাকব, যদি ছুঁয়ে দেখা যায় তোমায়।।

অবশেষে,


অবশেষে,
দেখা পেলাম তোমার
কত জনম পরে
নীল সাগরের তীরে
নীলাম্বরি শাড়ি পড়ে
এল চুলে
দাঁড়িয়ে ছিলে
উদাস চোখে
আমাকে দেখে
সম্বিত ফিরে পেলে

অবশেষে,
তুমি কথা বললে
হেসে হেসে
বসলে এসে
আমার পাশে
সাগর পারে
পরন্ত বিকেলে

ঢেউয়ের পড়ে
ঢেউ এল যেই
তাকিয়ে দেখি
নেই তুমি নেই

আজও হাতছানি দিয়ে ডাকে

শিউলি ফুল ফুটেছিল,
বাবুদের বাগানে
ছোট্ট মেয়েটা,
লাল জামা পরে,
মাথায় দুই বিনুনি ঝুলিয়ে,
এসেছিল ফুল তুলতে।।

বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল,
বাবুর ছোটছেলে,
হাফ প্যান্ট আর নতুন জামা পড়ে
এক দৃষ্টে তাকিয়ে ছিল,
ছোট্ট মেয়েটির দিকে

হঠাৎ মেয়েটার চোখ গেলো,
বাবুদের বারান্দার দিকে
তাকিয়ে দেখে,
ছোট্ট ছেলেটি, এক দৃষ্টে তাকে দেখে
ফুলের সাজি হাতে,
মেয়েটি ছেলেটিকে হাতছানি দিয়ে ডাকে

দৌড়ে ছেলেটি যায়,
শিউলি গাছের নীচে
এক সাথে দুজনে ফুল তুলে নিয়ে আসে
অঞ্জলি দেবে মায়ের পায়ে

এই ভাবে প্রতি বছর,
দুজনে ফুল তুলে নিয়ে আসে,
এক সাথে অঞ্জলি দেয় মায়ের পায়ে
তারপর পাশাপাশি বসে, 
মায়ের পূজা দেখে

এইভাবে কেটে গেল কতগুলি বছর,
এখন ছেলেটা থাকে বিদেশে
আর সেই ছোট্ট মেয়েটা
চলে গেছে,
অন্য কারও ঘরে,
সংসারি মেয়ের বেশে

আজও শরতের রঙ্গিন সকালে
সেই ছোট্ট মেয়েটা
হাতছানি দিয়ে ডাকে
ছেলেটা পাগলের মত ছুটে যায়,
শিউলি তলায়
মনে মনে ভাবে,
যদি সেই মেয়েটার দেখা পায়

পায় না খুঁজে সেই মেয়েটিকে,
আজও যে হাতছানি দিয়ে ডাকে




Saturday, July 21, 2012

“ফুটপাথ তুমি কার?”


নিজেকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম একদিন
ফুটপাথ, তুমি কার?
কত মানুষ রোজ হাঁটে,
সকাল বিকাল,
তাঁরা ভাবে তার
কত মানুষ হকারি করে,
তাঁরা ভাবে তার!
কত দালাল আসে তাদের পাওনা নিতে
তাঁরা ভাবে তার
সারা দিনের ক্লান্তির পরে
রাতে কত মানুষ ঘুমায়
তাঁরা ভাবে তার
কত মানুষ ঘর বাধে
এই ফুটপাথে
তাঁরা ভাবে তার
কত অবাঞ্ছিত শিশুর জন্ম হয়
এই ফুটপাথে
তাঁরা ভাবে তার
রোজ রাতে কিছু নরখাদক আসে
হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়
কোনও যুবতি মেয়েকে
সে হয়ত বা কারও মা
কারও বা বোন
আবার হতেও পারে কারও প্রেয়সী
সেই নরখাদক ভাবে
ফুটপাথ তার নিজের
সবাই ভাবে ফুটপাথ তার নিজের সম্পত্তি
এইসব দেখে আড়ালে কেউ হাসে
মনের প্রশ্ন মনেই থেকে গেলো
উত্তর পেলাম না
ফুটপাথ তুমি কার?

হারিয়ে যাচ্ছে


আকাশে ঘন কালো মেঘ;
যে কোনও সময় বৃষ্টি আসবে,
ভাসিয়ে দেবে সব।
দুরের আকাশে
কিছু সাদা বক
সারিবদ্ধ ভাবে উড়ে যাচ্ছে
মনে হচ্ছে
সাদা জুঁই মালা
আকাশের বুকে
কেউ মেলে দিয়েছে।
অপু, আকাশের দিকে
অপলক দৃশটিতে তাকিয়ে আছে।
এমন দিনেই তো নদীর পারে,
নন্দিনীর দুই হাত ধরে
মনে মনে বলেছিল
ভালবাসি তোমায় আমি
নন্দিনী কিছু বলেনি মুখে,
শুধু দু চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে
গাল বেয়ে পরেছিল।।
দুজনেই চুপ,
ঠিক তখন ঝম ঝম বৃষ্টি
শুরু হল।
আজ দুজনে ভিজবে,
তাই ছাতা আনেনি।  
যেই বিদ্যুৎ চমকাল,
নন্দিনী অপুকে জাপটে ধরল।
দুজনের চোখ বন্ধ
ঠোঁট একদম কাছাকাছি...
আর মনে নেই,
কেমন হারিয়ে যাচ্ছে।
দুরের আকাশে
কিছু সাদা বক
সারিবদ্ধ ভাবে উড়ে যাচ্ছে।

Tuesday, July 10, 2012

যোগ্য ছেলে


আজ সকালে অফিস আসার সময়
তাকিয়ে দেখি
জটোলা হয়েছে রেল লাইনের ধারে
এগিয়ে দেখি
এক বৃদ্ধা নারী
পরনে ছেড়া সাদা শাড়ী
চোখের জলে ভিজেছে সেই শাড়ী
শুনলাম তার যোগ্য ছেলে
ওখানে বসিয়ে রেখে গেছে চলে
হায় কপাল, শুনি কি কারন?
কারন শুনে মানে না যে মন
জন্ম দিল,
বুকের দুধ দিল যে মা
তার কিনা ভাত কাপড় জোটে না?
এই কি সুযোগ্য পুত্রের নমুনা?
মাকে সে নাকি বলে
বসিয়ে দিলাম রেল লাইনের ধারে
নিয়ে যাবে তোমার মেয়ে, তার ঘরে
যদি নিয়ে না যায়
গলা দিয়ে দিও রেল লাইনের পরে
এই কি সেই ছেলে?
যে কিনা মাকে না দেখলে
উঠত কেদে জোরে জোরে
মা তখন বুকের দুধ দিয়ে
করত শান্ত,
সেই ছেলে
আজ মাকে বলে
গলা দিয়ে দাও রেল লাইনের তলে?
বেচারি মা, তাও থানায় জানায় না,
বলে, থানায় জানালে,
শাস্তি পাবে যে আমার ছেলে
এখনো আমার ছেলে,
যে কিনা মাকে বলে,
গলা দিয়ে দাও রেল লাইনের তলে

দেখা হয়েছিল তোমার সাথে


আমি তখন ছাব্বিশ
তুমি হয়ত তেইশ
অফিস থেকে ফেরার পথে
দেখা হয়েছিল তোমার সাথে
সাদা চুরিদার পরনে ছিল তোমার
সবার মাঝে চোখে পরে আমার
কোনও কথা হয়নি
শুধুই চোখাচোখি
এইভাবে কাটল বেশ কিছুদিন
অনেকের মাঝে খুঁজতাম তোমায়
একদিন,
কেউ ছিল না বাস স্ট্যান্ডে
শুধু তুমি আর আমি
কেউ আসেনি?
জানতে চাইলাম আমি
তুমি বললে
এই তো আছি আমি
এটাই তো চেয়েছিলাম
স্বগতক্তি করলাম
তোমার আশায়
আমার হৃদয় আছে ছুঁয়ে
এমনি করেই চলছিল
হঠাৎ এক দমকা হাওয়া
সব ওলটপালট করে দিল
হারিয়ে গেলে তুমি
কোথায় আছো?
কেমন আছো?
জানা নেই আজ
হয়ত কোনও এক ভুলে
তুমি হারিয়ে গেলে
আজও অফিস থেকে ফেরার সময়
ভাবি
যদি দেখা হয় তোমার সাথে
কিছু সময় কাটাব দুজনে
হয়ত বা একান্ত গোপনে
ঠিক আগের মত
বৃথা চেষ্টা করে বাড়ি ফিরি
আবার পরদিন থাকি অপেক্ষায়
যদি তোমার সাথে দেখা হয়ে যায়

Thursday, June 21, 2012

রথের মেলায় আবার


মেঘলা আকাশ
ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা বাতাস
টিপ টিপ বৃষ্টি
লাগছে মিষ্টি

গরম জিলিপি হাতে
পাপড় ভাজা সাথে
বিকেলে রথের মেলায় যাওয়া
তোমায় কাছে পাওয়া

দুই বিনুনি মাথায়
লাল ফিতে বেধে
মিষ্টি লাগছে তোমায়
কাচের চুরি হাতে

এমনি কোরে মেলায়
হারিয়ে ফেলি তোমায়
খুঁজে পাইনা কোথাও
সব আনন্দ উধাও

বছর ঘুরে আবার
রথের মেলা এলো
এমনি করে ভীরের মাঝে
তোমার সাথে দেখা হোল

Wednesday, June 20, 2012

জুলাই মাসের একটা রাত


জুলাই মাসের একটা রাত, সময় ৯টা ৯।৩০টা হবে, মনে নেই এখন। অফিস থেকে ফিরছি। সারাদিন মুসল ধারায় বৃষ্টি হয়েছে, চারধার জলে থই থই। ট্রেন থেকে নেমে ষ্টেশনে দাড়িয়ে আছি, একটাও রিক্সাও নেই। প্যান্ট গুটিয়ে, হাঁটুর উপর করে, ছাতা মাথায় দিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। সব দোকান বন্ধ, রাস্তা ফাঁকা, একটাও লোক নেই, শুধু আমি আর দু একটা কুকুর। মনে একটা কেমন ভয় লাগতে শুরু করল। হটাৎ মনে হল, কেউ আমার পিছনে আসছে। পিছনে ঘুরে তাকালাম, দেখি আমার বয়সের একটা মেয়ে, বৃষ্টিতে সব ভেজা, আমাকে ডাকছে। দাড়িয়ে গেলাম। বুঝলাম, ও একা, ছাতা নেই সাথে। আমি ছাতার নীচে নিয়ে নিলাম।
দুজনের মুখে কথা নেই, এইভাবে হাঁটছি, কিছুদুর যাবার পর, ও আমার নাম ধরে ডাকল, কেমন আছো, অসিমদা? আমি অবাক হয়ে গেলাম।
তাকিয়ে দেখি, আমার পাড়ার মিমি।
আমি ভাল আছি, কিন্তু এত রাতে কোথা থেকে ফিরছিস?
ও কেমন লজ্জা পেল মনে হল। আবার জানতে চাইলাম।
আমি গেছিলাম, পয়সা রোজগার করতে
ঠিক মানে বুঝলাম না
ঘরে ছোট বাচ্চা, বর কবেই অন্য মহিলাকে নিয়ে চলে গেছে। কি করব? পেট কি কথা শুনবে? মায়ের কাছে মেয়েকে রেখে বেরিয়েছিলাম
ওর কথা শুনে আকাশ থেকে পরলাম, হাত পা কেমন ঠাণ্ডা হয়ে গেল। মনে পরল, খুব ছোটবেলায়, এক সাথে আমরা খেলতাম। কত স্বপ্ন ছিল দুজনের দুচোখে। তারপর সব হারিয়ে গেল। আজ আবার কত বছর পরে দেখলাম ওকে। মনে পড়ল, সেই প্রথম চুমু খাবার কথা, আরো কত না ভোলা কথা।
মিমি হঠাৎ বলল যাবে আমার বাড়ীতে?
না বলতে পারলাম না। গেলাম, গিয়ে দেখি ওর মা, বয়সের ভারে নূয়ে গেছে, বাচ্চা মেয়েটা পড়ছে, জানে না, মা কিভাবে পয়সা আনছে। কেমন একটা লাগল, মা জানে না, মেয়ে কি ভাবে পয়সা আনছে, জানার দরকার নেই ওনার। সময় কেমন নিজের খেয়ালে চলে। এই বাড়ীতেই একদিন সব ছিল। আজ সব হারিয়ে গেছে। আজ এই বাড়ির মেয়ে নিজের সব বিক্রি করে দিয়েছে, শরীর দিয়ে পয়সা আনছে। সংসার চলছে, তিনটে প্রাণী  খেয়ে বেচে আছে।
[লেখাটা আমার নিজের কল্পনা। হটাৎ মনে হল, লিখে ফেললাম। কারো সাথে মিলে গেলে মাফ করে দিও। নাম যদি মিলে যায়, সেটাও মাফ করে দিও] 

গন্ধ মাখা খামে, চিঠি


কাল বিকেলের ডাকে
তোমার চিঠ পেলাম
সেই চেনা,
গন্ধ মাখা খামে
শেষে ইতি,
খামের পিছনে
নাম নেই
এটাই
প্রেরকের ছোট পরিচয়

আশা করিনি
লিখবে তুমি
শেষ কবে তোমার
চিঠি পেয়েছিলাম
মনে নেই আজ
কাঠের বাক্সে
রাখা আছে তোমার শেষ চিঠি
অনেক কিছু লিখতে তুমি

হঠাৎ
এক দমকা হাওয়াতে সব
ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল।
অনেক চিঠি লিখেছি
কোন উত্তর পাইনি
সেই গন্ধ মাখা খামে
তোমার চিঠি, পেছনে
ইতি...

হঠাৎ কাল বিকেলের ডাকে
তোমার পাঠানো চিঠি
গন্ধ মাখা খামে,
শেষে ইতি
নাম নেই তাতে
বুঝে নিলাম
এটাই তোমার নিরব পরিচয়।

কত বছর পথ চেয়ে বসে ছিলাম
তোমার চিঠির আশায়।

কাঠের বাক্সে
তোমার পাঠানো সব চিঠি
আগের মতই আছে
রেখেছি যত্ন করে
চিঠির পিছনে
ইতি...
আজও মলিন
শুধু গন্ধ নেই তাতে
তোমার ভালবাসার
সেই গন্ধ হারিয়ে গেছে। 

Friday, June 15, 2012

একটুখানি ছুঁয়ে থাকার কথা


একটুখানি ছুঁয়ে থাকার অলীক ইচ্ছে
হ্যাঁ, ছোঁয়া
একা, খুব একা,  
চারপাশ থেকে মুক্তি পেতে,  
একান্ত কোনও ছোঁয়া
সে ছোঁয়া হাওয়ায় মিলিয়ে যায় সব মনখারাপ
শরীর ছেরে সেই ছোঁয়া,
মনের মাটিকেও যেন ভিজিয়ে দেয় ধারাজলে

পার্কের রেলিং সেদিন কেমন যেন পালটে গেল
বৃষ্টির ছাঁট থেকে মুক্তি পেতে রেলিং ঘেঁষে,
গাদাগাদি-ঠেলাঠেলি
তারই মধ্যে ভিড়ের ঠেলায় খুব কাছাকাছি ঘেঁষে আসায়
কেঁপে উঠেছিল মন
আসলে কে যেন শত জনমের আবেশে ভরে দিল, ছুঁয়ে দিল

আঙুলে আঙুলে বয়েছিল,
চোরা বিদ্যুত স্রোত
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব,
চাই গোপন আশ্রয়
ছোঁয়ায় এত জাদু আছে?
জানা ছিল না,
তোমায় ছুঁতে চাওয়ার মুহূর্তরা-
কী জানি কী আবেশে দিশাহারা

যেখানে ভালবাসা লুকিয়ে থাকে
ঘরের চার দেওয়ালে,
সেখানে জাদু-ছোঁয়া ঘেঁষতে পারবে

Saturday, June 9, 2012

ভালবাসা কি?


অনুভব থেকে ভাবি আমি,
পারিনা দিতে ভাবের বিশ্লেষণ।
সব উত্তর জানা নেই
কি চাইছি,
কি দেবে আমায় শান্তি।
ভালবাসা কি,
জানি না আমি।
হতে পারে যন্ত্রনা,
হতে পারে মুগ্ধতা,
হতে পারে কাউকে কাছে পাওয়া।
মনের কোনে বসন্ত এসেছিল কবে,
আবার চলে গেলই বা কবে
বুঝতে পারিনি
কে দেবে আমায় শান্তি
জানা নেই আমার
কাকে ঘিরে সুখ
কাকে ঘিরে দুখ
কার পথ চেয়ে উন্মুখ
কে জানে?
ভালবাসি
কাকে? কে দেবে উত্তর?
জানি না আমি
ভালবাসি এই কথাটা জানি
কিন্তু কাকে
জানি না আমি

Tuesday, June 5, 2012

ইচ্ছে ছিল


ইচ্ছে ছিল
যাব তোমার কাছে
কোন এক সকালে
তুমি বলেছিলে
থাকবে তুমি
কদম গাছের নিচে
সকাল গড়িয়ে দুপুর
দুপুর গড়িয়ে রাত
আবার রাতের পরে ভোর
এলে না তুমি
আমার কাছে
আমি ছিলাম তোমার আপেক্ষায়
অনন্ত কাল ধরে
আসবে তুমি
আমার দুয়ারে
তবু এলে না তুমি


প্রথমবার তোমাকে দেখেই ভেবেছিলাম

প্রথমবার তোমাকে দেখেই ভেবেছিলাম -
তুমিই হয়ত সেই একজন,
যার জন্য ধূসর হয় এই পৃথিবীর প্রান্তর।।

প্রথমবার তোমাকে দেখেই ভেবেছিলাম -
তুমিই হয়ত সেই একজন,
যার জন্য আকাশ মেঘলা হয়।। 

প্রথমবার তোমাকে দেখেই ভেবেছিলাম -
তুমিই হয়ত সেই একজন,
যার জন্য পাখিরা গান গায়।।

প্রথমবার তোমাকে দেখেই ভেবেছিলাম -
তুমিই হয়ত সেই একজন,
যার জন্য গাছে গাছে ফুল ফোটে।।