Tuesday, February 19, 2019

আমার বাবা 
 ১৫/০২/২০১৯
সময় - বিকেল ৩.১৫ মিনিট

----------------------------------
বাবা, আজ সকালে,
ইচ্ছে ছিল 
তোমার কাঁধে চরি।
মাঠে গিয়ে,
তোমার সাথে একটুখানি খেলি।
ইস্কুলেতে পড়তে গিয়ে,
তোমার কথা ভাবি।
বাড়ি গিয়ে সবাই যখন, 
বাবার কোলে উঠবে,
খেলবে বাবার সাথে।
আমি তখন একলা ঘরে,
শুধাবো আমার মা'কে, 
"মা মা বাবা আসবে কবে?"
মা তখন, পিছন ফিরে,
নিজের দু'চোখ মুছবে,
আর বলবে, 
"তোর বাবা তো আর আসবে না ফিরে,
আমাদের এই ঘরে।
বাবা এখন আছে, 
আমাদের থেকে অনেক অনেক দূরে।"
আমি তখন ভাববো বসে, 
সত্যি কি কক্ষনো আমার বাবা আসবে না ফিরে,
আমাদের এই ভাঙা মাটির ঘরে।
বাবা এখন আছে, 
সেই তারাদের দেশে,
আমার দিকে তাকিয়ে আছে, 
মুখে মুচকি হেসে।
আমিও যখন হবো বড়,
যাবো সীমান্তের দেশে,
খুব মারবো, সেই লোকটাকে,
যে আমার বাবাকে পাঠিয়েছে,
ওই তারাদের দেশে।

আমার তুমি
১৮|০২|২০১৯
সময় :: রাত ১১টা
-----------------------------------------
ইচ্ছে ছিলো,
আজ বিকেলে তোমার কাছে যাই।
নদীর পারে বসে,
একান্তে দুজনে সময় কাটাই।
তোমার কাঁধে থাকবে আমার মাথা,
আর হাত থাকবে হাতের উপর।
আমি গাইবো গুনগুন করে,
তুমিও দেবে সুরের টান।
ইচ্ছে হলো,
আজ তোমার সাথে অনেক দুরে যাই।
দুজন দুজনাতে হারাই।
কিন্তু একটা ফোন,
উল্টে দিলো সব,
মনের ভেতর হা হা কার রব।
তুমি আসবে, গাড়ীতে চেপে,
রাজার মতো।
দুর থেকে দেখবো শুধু,
মনের ভেতর কি যে যন্ত্রনা, 
তা বোঝাতে পারবো না।
তুমি তো আসবে,
লোকের কাঁধে চেপে,
আবার চলেও যাবে, 
রাজার মতো, 
আমায় একলা করে।
আমি থাকবো তোমার অপেক্ষায়,
নদীর পারে বসে,
ভ্যালেন্টাইন ডের বিকেলে।
বসে বসে ভাববো,
আমায় কেনো ফাঁকি দিলে?
চোখের জলে ভাসিয়ে,
রাজার মতো চলে গেলে।
শুন্যপানে চেয়ে থাকি শুধু,
যদি দেখা পাই তোমার।

ফাগুনের হাওয়া
১৯/০২/২০১৯ 
সময় - দুপুর ১২টা 
-----------------------
ফাগুনের নরম হাওয়া,
বসন্তের রাতে!
ছড়িয়ে পড়ুক, 
তোমার মুখের 'পরে!!
তোমার চোখের 
নরম আলো, 
ছড়িয়ে পড়ুক; 
আমার মুখের 'পরে!!
স্বপ্নগুলোকে ধুয়ে নেবো
নরম আলোর স্রোতে
তুমি শুধু চাঁদ হয়ে
থেকো আমার সাথে!!
আমার মনের কষ্ট
থাকবে না কোনও দিন
যদি তোমার কাজল কালো চোখ
আমার দিকে চেয়ে থাকে চিরদিন!!
আমি থাকবো নীরব, নিস্তব্ধ 
ভালোবাসার কাঙ্গাল হয়ে!!
ফুল যখন শুকিয়ে যাবে 
ভালোবাসা তখনও থাকবে সাথে,
আমার মনের গভীরে!! 
আমি থাকবো বসে, তোমার অপেক্ষায়, 
তোমার শয্যা পাশে!!

Friday, December 21, 2018

অসময়ের বৃষ্টি --------------------- পৌষের আকাশে মেঘ জমেছে, ঝরছে সকাল বিকেল বৃষ্টি। শীতল হাওয়া বইছে দেখো, কি অপরূপ সৃষ্টি। অসময়ের ঝমঝম বৃষ্টিতে ভিজলো সারা শহর, ভিজলে তুমি, ভিজলাম আমি, ভিজলো গায়ের চাদর। ও পাড়ার মেয়েটা এলো চুলে একলা ছাদের 'পরে দাঁড়িয়ে, বৃষ্টিতে ভিজতে চায় সে। গায়ের লাল ওড়নাটা উড়ছে আকাশে। বৃষ্টির সাথে নৃত্য করে নি কতদিন, মেঘের গর্জনে কেঁপে ওঠেনি, আঁকড়ে ধরে নি তাঁর প্রানসখাকে। অসময়ের বৃষ্টিতে ভিজতে চায় সে, মেঘের গর্জনে কাঁপতে চায়, ঠিক আগের মতো, আঁকড়ে ধরতে চায় আপনজনকে। অসময়ের বৃষ্টি ঝাপটা মেরে ভিজিয়ে দিলো তাঁকে, মেঘের গর্জন কাঁপিয়ে দিয়ে গেলো। আজ কেউ কাছে নেই, যাকে আঁকড়ে ধরবে, আজ সে একা, একদম একা, কেউ নেই সাথে তাঁর।। ১৮|১২|২০১৮ সময় :: রাত ১০|২২ মিনিট
********* ফিরে দেখা ***********
---------------------------------------
কুড়ি বছর পরে
আবার রোদে পিঠ দিয়ে
দুজনে মুখোমুখি বসা। 
শীতের দুপুরে,
কমলা লেবু ছাড়িয়ে 
দুজন দুজনের মুখে তুলে দেওয়ার মধ্যে 
এক অনাবিল আনন্দের খোঁজ পাওয়া যায়।
শীতল বাতাসে অবাধ্য খোলা চুল, 
কপালে এসে পড়ছে বারে বারে।।
গায়ের চাদরটা ভালো করে জড়িয়ে নিয়ে,
দুজন দুজনের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা।
আজ থেকে কুড়ি বছর আগেও
এমনি এক শীতের দুপুরে,
রোদে পিঠ দিয়ে, 
দুজনের মুখোমুখি বসে থাকা। 
তখন বয়স অল্প,
কলেজের ক্লাস শেষ হবার পরে,
দুজনের সেই নদীর পারে গিয়ে বসা।
চোখে অনেক না দেখা স্বপ্ন,
মনে ভীর করে আসত।
সন্ধ্যে নামলে, দুজন দুজনকে ছেড়ে,
ঘরে ফিরে যাওয়া।
আবার পরদিন দেখা হবে, এই আশায়, 
বাড়ি ফেরা।
এই ভাবেই একদিন, বাড়ি ফেরার পরে,
পরদিন আর দেখা হোল না দুজনের।
কোন এক অজানা ঝড় সব ওলট পালট করে দিল।
কুড়ি বছর পরে,
আবার আজ রোদে পিঠ দিয়ে,
মুখোমুখি বসা, পুরনো স্মৃতিকে উস্কে দিলো।
ভাঙা হৃদয়ে, আবার প্রানের সঞ্চার হল।

২১/১২/২০১৮
সময় - দুপুর ১ টা ৫০ মিনিট

Tuesday, January 16, 2018

একটু খানি....
-------------------
একটু খানি ঝগড়াঝাটি
একটু খানি মান
একটু খানি মনের কথা
একটু খানি ভালো লাগা গান।।

একটু খানি ঠোঁট ফোলানো
একটু খানি হাসি
একটু খানি সুখের কথা
বলতে ভালোবাসি।।

একটু খানি তাকিয়ে দেখা
একটু খানি সুখ
একটু খানি ভার করা মন
একটু খানি দুখ।।

একটু খানি মেঘলা আকাশ
একটু খানি বৃষ্টি
একটু খানি রোদ ঝলমল
একটু খানি সৃষ্টি।।

রক্তের রং
চারধারে চাপচাপ রক্ত,
নেতারা খুঁজতে ব্যস্ত
কে তার ভক্ত!
"দাদা আমি নিচে
আটকে আছি,
আমাকে বাঁচান!"
নেতা তখন বলছে,
"ডাকছে যে,
সে বিরোধী দলের,
তাকিও না, ওর দিকে!"
"আমার দলের যারা
চাপা পড়েছে,
তাঁদের ভালো হাসপাতালে নিয়ে যাও,
ওরা আমাকে ভোট দেবে,
আগামী নির্বাচনে!"

ধ্বংস স্তুপের নিচ থেকে আর্তনাদ,
"একটু জল দেবে,
গলা শুকিয়ে যাচ্ছে,
আমাকে বাঁচাও!"

নেতা তখন মাইক হাতে বলছেন,
"শুনুন, যারা মারা গেছেন,
তাঁদের পরিবার, পাঁচ লাখ পাবে,
আহতদের পরিবার পাবে দুলাখ, আর
যাঁদের সামান্য চোট,
তাঁরা পঞ্চাশ হাজার!"

"দাদা এই যে এইদিকে আমি,
আমার পরিবার কত পাবে,
আমার যে দুই হাত আর দুই পা গেছে,
এখনও বেঁচে আছি,
যদি চলে যাই, পাঁচ লাখ পাবো,
মেয়ের বিয়ে হয়ে যাবে.."

নেতা চলে গেলেন,
রক্তের রং দেখে গেলেন!